সম্পর্ক

সম্পর্ক_হচ্ছে_এক_সুতোর_টান_।দুই প্রান্তের শক্তির প্রভাব একে জুড়ে রাখে। কখনো এর শক্তি সরলরেখায় শায়িত করে দুটি প্রান্তকে। আবার কখনো ঢেউ খেলিয়ে নান্দনিক শ্রুতি সৃষ্টি করে। আবার কখনো কালের পচনে ছেদ সৃষ্টি করে।
সম্পর্কগুলোও ঠিক তেমনই। সুতোর সরল রেখার মতোই সম্পর্কগুলো মসৃণ থাকে যতক্ষণ, দুই প্রান্তের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক ভাবনার লয় সমান্তরাল থাকে। শব্দের অনুরণন যেমন বাক্যে প্রভাব ফেলে, ঠিক তেমনি আবেগের বহিঃপ্রকাশ একটি সম্পর্কে প্রভাব ফেলে। কোন তালে, কোন ছন্দে দুটি শব্দ সুর বাঁধবে, আর কোথায় ছন্দ বেসুরো হবে, তা সময়ের রূপান্তর মাত্র।
ভালোবাসার দায় সম্পর্কের নেই, আবার সম্পর্কের পরিণমন ভালোবাসা হতেই হবে এমনটাও সার্বিক রসায়ন সঙ্গত নয়। তবে কালের নিয়মে সুতোর টানে অসামঞ্জস্য আসে। ধরে পচন। ভাঙে সম্পর্ক।
তখন দেখার বিষয় এটাই যে, সম্পর্ক সুতোর টানকে কিভাবে শিথিল রাখে। কালের নিয়মে তিল তিল করে গড়ে তোলা এক সুতোই বাঁধা সম্পর্ককে জীর্ণতায় এবং সিক্ততায় কি অবদান রাখে।
দুই প্রান্তের বিশ্বাসের বাঁধনে প্রয়োজন হয় সময় আর মূল্যবোধের। সম্পর্কের যেমন দায় বর্তায় দুটি মানুষকে ভালো রাখা, ঠিক তেমনি দুটি মানুষেরও কর্তব্য… অসময়ে মান্যতা দিয়ে সম্পর্কের সম্মান ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা। ভালোবাসা তো জীবনশৈলির আপেক্ষিক অনুপ্রেরণা। ধৈর্য আর সহনশীলতা তার বাঁধনকে আরো দৃঢ় করে। সময়ের যাঁতাকলে এভাবেই সম্পর্কগুলি আরো প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন