পরম দয়ালের বড় আদরের পাঞ্জাধারী ঋত্বিক 

শ্রীশ্রীঠাকুরঃ ঋত্বিকের কাজ যে কতবড় কাজ তা হয়ত আজ লোকে টের পাচ্ছে না।.. রাজা, মহারাজা, মন্ত্রী, গভর্ণর, জজ, ম্যাজিট্রেট সকলেই সেদিন বুঝবে ঋত্বিকের কাজের তুলনায় তাদের কাজ কতখানি superficial (উপরসা)। যারা জীবন গড়ে দেয়, চরিত্র গড়ে দেয়, তারাই হল সবচাইতে মুল্যবান মানুষ। [আলোচনা প্রসঙ্গে ১০ম,/পৃষ্ঠা: ১৮]
তখন একটা District Magistrate কোন কিছু করতে গেলে ঋত্বিকের পরামর্শ না নিয়ে করতে পারবে না। তারা নিজেরাই টের পাবে যে তারা বা কতটুকু কার্যক্ষম এবং এরা বা কতখানি।
[আলোচনা.প্রসঙ্গে.১ম/পৃ:৪৩]

ঋত্বিক মানে vanguard of prosperity (উন্নতির অগ্রদূত)।
[আলোচনা প্রসঙ্গে:২০ম/পৃ:২২০]

তারা হলো angles of liberty (স্বাধীনতার দেবদূত)। [আ.প্র.৮/৪০] ঋত্বিকরা হল messenger of the Lord (প্রভুর বার্তাবহ), তারা যদি ইষ্টের সঙ্গে in tune থাকে। [আলোচনা.প্রসঙ্গে.১ম /পৃ:১৩৩]

খৃষ্টানরা কয় Clergyman (ঋত্বিক)। ডিকশনারিতে তার মানে লেখা portion of divinity (ঈশ্বরের অংশ)। একজন ঋত্বিকের চলন-চরিত্র এমন হবে যে তাকে দেখে হাইকোর্টের জর্জ পর্য্যন্ত উঠে দাঁড়াবে। দাঁড়াবেই তো। সে যে portion of divinity (ঈশ্বরের অংশ)।
[দীপরক্ষী.৫ম/পৃ:২৮০]

নষ্টকে শ্রেষ্ঠ করেন বলেই তিনি পুরুষোত্তম। পুরুষোত্তমের আগমন এই অল্প সময়ের মধ্যে হয়ত ঋত্বিকদের অনেকের স্বভাব-চলন অতখানি হয়ে উঠেনি, কিন্তু হবার পথ ধরে তারা চলেছেন। এই যে বিশ্বে কতকোটি দীক্ষা হল, তা এই ঋত্বিকদাদাদের কঠোর ত্যাগ ও পরিশ্রমের ফসল তো! তাই তাদের সম্বন্ধে নিন্দাবাদ শুনলে মনে ভীষণ আঘাত হানে। এবার শ্রীশ্রীঠাকুর ঋত্বিক যাজক কর্মীদের গুরুগিরি ও ধর্মবাণী বিকৃত অপব্যাখ্যা করার সব পথ চিরতরে বন্ধ করলেন। সদাজাগ্রত আচার্য্যপরাম্পরা! নীচের বাণীগুলো থেকে বোঝা যায়, শ্রীশ্রীঠাকুর ঋত্বিকদের কত কঠোর শাসন করলেন।।
নিষ্ঠাভাঙ্গা ঋত্বিক হলে
দীক্ষা তাহার ব্যর্থ,
প্রবৃত্তি তাহার স্বার্থ হয়ে
খুঁজে বেড়ায় অর্থ। [ অনুশ্রুতি ৬ষ্ঠ /ধৰ্ম্ম-৪৯]
ইষ্টবিহীন অনাচারদুষ্ট ধর্মপ্রচারকই হোক,
ঋত্বিকই হোক,
আর, যে-ই হোক না কেন,
কখনই অনুসরণীয় নয়কো;
অনুসরণে সাত্বত পতন অনিবার্য্যই হয়ে ওঠে। [চর্য্যাসূক্ত/১৪৭]
❝ ঋত্বিক্, প্রতিঋত্বিক, অধ্বর্য্য বা যে কেহই হোক না কেন, বাক্ ও বাস্তব কর্মে যাহারা ইষ্টস্বার্থ ও ইষ্টপ্রতিষ্ঠাপন্ন নয় তাহাদিগকে কোন মতেই তোমার দৈনন্দিন জীবনের উৎকর্ষ-নিয়ামক করিয়া রাখিও না বা তাহাদের ভরণপোষণ-তৎপর হইয়া তাহাদিগেতে আত্মনিয়োগশীল থাকিও না-ইহার ব্যত্যয়ে তোমার জীবন কোন্ দুর্গম রন্ধ্রে চালিত হইয়া বিধ্বস্তির চরমে নিঃশেষ হইতে পারে তাহার ঠিকানা করাও দুরূহ।❞ [‘উপাসনা’-র ১ম পৃষ্ঠা।।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন