
সনাতন ধর্মলম্বী ভাই বোনদের কে জানানো যাইতেছে যে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি আছে শ্রী শ্রী মা দুর্গা দেবীর আগমন উপলক্ষে আমাদের এই নিচের তথ্যগুলো সংগ্রহ করা দরকার। দুর্গাপূজার বিষয়ে Devdas Bhattacharya স্যারের এই আহবান গুলো বর্তমান হিন্দু সমাজের প্রানের দাবি।।পূজা উদযাপন পরিষদ এই কঠোর ভূমিকা পালন করলে এরকম ভাবে সারাদেশে পূজা করা সম্ভব। পূজা পরিষদের নেতৃবৃন্দ আপনারা অন্তত পক্ষে এবার একটু পদক্ষেপ গ্রহন করুন প্রশাসনের সহযোগিতায়।
ময়মনসিংহ রেঞ্জের সম্মানিত ডিআইজি স্যার দেবদাস ভট্টাচার্য মহোদয় কর্তৃক দেশের সকল পূজা কমিটির প্রতি সময়োপযোগী আহবান।
পূজা উদযাপনের জন্য ইতোমধ্যে জাতীয় এবং বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি গঠন শুরু হয়েছে।
আমি সকল কমিটির নিকট কয়েকটি অনুরোধ এবং সুপারিশ করছি।
১। আরতির নামে ডিজে, কুরুচিপূর্ণ গান সহ সব ধরনের উচ্ছৃঙ্খলতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
২। প্রতি সন্ধ্যায় মন্ডপে মন্ডপে ধর্মীয় আলোচনা এবং ধর্মীয় সঙ্গীত ও নৃত্যের আয়োজন করা যেতে পারে। এজন্য প্রতিদিন এক বা দুইজন উপযুক্ত ব্যাক্তিকে আলোচনার জন্য নির্বাচিত করা যেতে পারে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে আলোচনা হলে দর্শক সমাগম বজায় থাকবে এবং সকলে উপভোগ করবে।
৩। ধর্মীয় বিষয়ের উপর শিশু, কিশোর, তরুণদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতা এবং পুরষ্কার প্রদানের আয়োজন করা যেতে পারে।
৪। সমবেত চন্ডীপাঠ বা সমবেত প্রার্থনার আয়োজন করা যেতে পারে।
৫। প্রতিদিন সুন্দর, সুশৃঙ্খলভাবে এবং সঠিক নিয়মে অঞ্জলির পরিকল্পনা এবং তা নিশ্চিত করতে হবে।
৬। আলোকসজ্জা বা অন্যান্য খরচ কমিয়ে বাজেটের একটি অংশ দিয়ে গরীব পরিবারকে সাহায্য করা উচিত।
৭। প্রতিমা নির্মান সহ পূজার সমস্ত প্রক্রিয়ায় ধর্মীয় বিধান মেনে সাত্ত্বিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
পূজার নামে উচ্ছৃঙ্খলতা, ধর্মীয় বোধের যে অবক্ষয় চোখে পড়ে, তাতে আমি হতাশ, ব্যাথিত এবং ক্ষুব্ধ।
ধর্মের আবরণে এসব নোংরামির ফলে যুব সমাজ বিভ্রান্ত হচ্ছে, পথভ্রষ্ট হচ্ছে।
ধর্মকে গ্লানিমুক্ত করে গৌরবময় করতে সবাইকে এক লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
ভাল থাকুন।
শুভ কামনা নিরন্তর!