চট্টগ্রামে জেএম সেন হলে চারদিনব্যাপী রাস মহোৎসব

॥ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ॥ শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদ বাংলাদেশ-কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত চারদিনব্যাপি পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাস মহোৎসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশব্যাপী যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পালন করা হয়। এ উপলক্ষে বিভিন্ন জেলায় বস্ত্র বিতরণ, রক্তদান, অনাথ ও দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণসহ গীতাপাঠ, সন্ধ্যারতি, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাস মহোৎসব ও ভোগ, দেশ ও জাতির কল্যাণে এবং করোনা মহামারী থেকে মুক্তির জন্য সমবেত প্রার্থনা করা হয়। পরিষদের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী অনাথালয় ও অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য দেন জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদ বাংলাদেশ-কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুকুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, রাসমহোৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান। বিগত ৩৮ বছর ধরে চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমী ও রাস মহোৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় জে এম সেন হল প্রাঙ্গণে ৪দিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সাধু ও বৈষ্ণবদের সংবর্ধনা, রাষ্ট্রীয় অতিথিবর্গের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লীলা প্রদর্শনী, ষোড়শ প্রহরব্যাপী তারকব্রহ্ম মহানামযজ্ঞ ও মহাপ্রসাদ বিতরণ। সংবাদ সম্মেলনে সুকুমার চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবদেন জানিয়ে বলেন, সহিষ্ণু ও অসাম্প্রদায়িক ধর্মীয় চেতনা ও চিন্তা দেশের উন্নয়ন ও সামাজিক অবক্ষয়ের হাত থেকে            ৬ষ্ঠ পৃষ্ঠায় দেখুন…

দেশকে রক্ষা করতে পারে। প্রতিবারই ধর্মীয় অবমাননার অজুহাত তুলে সংখ্যালঘুদের মঠ মন্দির, দেবালয়, বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে, নিরীহ সনাতনীদের হত্যা করা হচ্ছে, মা বোনদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। আমরা চাই প্রকৃত চিহ্নিত দুষ্কৃতকারীদের কঠোর শাস্তি ব্যবস্থা করা হোক, কিন্তু কোনও নিরীহ ও নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে অভিযুক্ত না হয়। মায়ানমারের জাতিগত সহিংসতার শিকার ১৫ লাখ রোহিঙ্গাকে প্রধানমন্ত্রী এদেশে আশ্রয় দিয়েছেন, তাহলে কেন এদেশের আড়াই কোটি হিন্দু তাদের পিতৃভূমিতে নিজের অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে না? জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদ বাংলাদেশ-কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন এর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুজিত কুমার বিশ্বাস, পরিষদ কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার, সাধন ধর, পরেশ চৌধুরী, লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য্য, প্রকৌশলী আশুতোষ দাশ, লায়ন তপন কান্তি দাশ, তাপস কুমার নন্দী, হিল্লোল সেন উজ্জ্বল, সর্বমঙ্গল গৌরহরি দাস ব্রহ্মচারী প্রমুখ।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন